শরণখোলা
May 19, 2020
শরণখোলায় বেড়িবাঁধ নরভরে, যান মালের ক্ষতির আশংঙ্কায় উপকুলবাসী!!
এমাদুল হক (শামীম): শরণখোলায় নির্মানাধীন ৩৫/১ পোল্ডারের ভেরিবাঁধ খুবই নরভরে । ইতোমধ্যে বলেশ্বর নদীর হঠাৎ কয়েক দফা ভাংঙনের ফলে কয়েক বিঘা জমি নদীতে বিলিন হয়েগেছে । অপরদিকে, নুতন করে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের সৃষ্টি হওয়ায় উপকুলীয় এলাকার বসতিদের মধ্যে আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঘুর্নিঝড়ের আঘাতে উপজেলার বলেশ্বর নদী সংলগ্ন গাবতলা ও বগী,বকুলতলা,চালিতাবুনিয়া সহ সাউথখালী ইউনিয়নটির শত শত বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি,ফসলী জমি সহ জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে । খোঁজ নিয়ে জানাযায়, গত ৮ ও ৯মে, আর্ক নদী ভাংঙ্গনে ওই ইউনিয়নের গাবতলা ও বগী গ্রাম সংলগ্ন বাঁধের প্রায় ১৫বিঘা জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বালু দিয়ে বাঁধ নির্মান করায় ৩৫/১ পোল্ডারের ভেরিবাঁধটি অনেকটা দুর্ভল হয়েছে । তাই শক্তিশালী ঘুর্নিঝড় আম্ফানের আঘাতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংঙ্কা স্থানীয়দের ।
উপজেলার বগী এলকার ইউপি সদস্য মোঃ রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, ২০০৭ সালের ঘুর্নিঝড় সিডরের পর উপকুল বাসীর দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। তবে, নির্মানাধীন ভেরিবাঁধটি টেকসই হয়নি। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ নজরুল ইসলাম আকন বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৬ সালে ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৭ কিঃমিঃ ভেরিবাঁধ নির্মান কাজ শুরু করেন (সি.এইচ.ডাব্লিউ) নামের চায়নার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । কিন্তু সেই বাঁধ নরভরে হওয়ার কারনে ঘুর্নিঝর আম্ফানের আঘাত সহ্য নাও হতে পরে । ফলে শরনখোলা সহ উপকুলের বাসিন্দাদের যান-মাল সহ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংঙ্কা বেশি।
তবে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, ভাংঙনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ওই স্থানে একটি রিং বেড়িবাঁধ দেয়া হয়েছে।বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওাহিদুজ্জামান খাঁন বলেন, ৩৫/১ পোল্ডারের অধিকাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং কাজের গুনগত মান সঠিক আছে । তবে, সাউথখালী ইউনিয়নের বগী ও গাবতলা এলাকার দুই কিলোমিটার অংশে নদী শাসন নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কাজটি দ্রুত শেষ করার।