শরণখোলা
July 25, 2020
ক্ষতিপুরন বঞ্চিত অসহায় তিন পরিবার শরণখোলায় বসতভিটা দখলের আশংঙ্কা মুক্তিযোদ্ধার!
নিউজ ডেক্স: শরণখোলায় সদ্য নির্মানাধীন ভেরীবাঁধে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় তিন পরিবার তাদের ক্ষতি পুরনের টাকা দীর্ঘদিনেও না পাওয়ায় অধিগ্রহন কৃত জমি আটকে দেয়ার কারণে এক মুক্তিযোদ্ধার বসতভিটা দখলের আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে ।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৭ সালে ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন চায়নার এইচ.সি.ডবিøউই নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পার্শবর্তী উপজেলা মোড়েলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়ন সহ শরণখোলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ৬৩ কি.মি. বাঁধের মধ্যে ১৯৮৪ সালে বলেশ্বর ও ভোলা নদীর ভাংঙ্গন ঠেকাতে তৎকালীন সরকারের নির্মিত ভেরীবাঁধের উভয় পাশে থাকা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাজার হাজার পরিবারের বসত বাড়ি সহ গাছ পালা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।
পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে তাদের ঘরে এ্যাওয়াড় নম্বর ও সীমানা পিলার দিয়ে ওই পরিবার গুলো চিহ্নিত করেন বাঁধ নির্মান কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিরা। তবে, নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও বলেশ্বর নদী সংলগ্ন উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের পুর্ব খুড়িয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত.আমির আলীর ছেলে জেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ রিয়াদুল ইসলাম ও তাদের চাচতো ভাই রুহুল আমিন জোমাদ্দার সহ অসহায় পরিবার তিনটি আজ পর্যন্ত তাদের ক্ষতিপুরনের টাকা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসাহাক আলী মাঝির ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান মাঝি বলেন, নুতন করে ভেরীবাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েক বছর আগে ১১নং সোনাতলা মৌজার ৩৫২, ৩৫৪ নং খতিয়ানের ৩৭৬৫ ও ৩৭৬৬ নং দাগ থেকে আমাদের ৫ শতক সম্পত্বি অধিগ্রহন করেন সংশ্লিষ্টরা। অপরদিকে, একই দাগ-খতিয়ান থেকে প্রতিবেশি জেলে শহিদুল ও রিয়াদুল সহ রুহুল আমিন জোমাদ্দারের প্রায় ২৫শতক জমি অধিগ্রহন করা হয়।
কিন্তু ওই পরিবার গুলো কোন টাকা না পাওয়ায় তারা তাদের অংশ ঘেরা বেড়া ও লাল নিশান টানিয়ে দিয়ে আটক করে রাখে। কিন্তু ঠিকাদার সংশ্লিষ্টরা ঘেরা বেড়ার মধ্যে কোন মাটি না ফেলে আমাদের বসত বাড়ির দিকে মাটি ফেলে অধিগ্রহণ ছাড়াও আরও ১০ শতক জমি নুতন করে বেরি বাঁধের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, তিনি ম্যাপ অনুযায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ করার দাবী জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ জেলে শহিদুল জোমাদ্দার বলেন, আমার আশ-পাশের বাসিন্দারা টাকা পেলেও আমরা তিনটি পরিবার কোন টাকা পাইনি। ক্ষতিপুরনের টাকার জন্য বাগেরহাট জেলা প্রসাশকের অফিসে বহুবার ধর্না দিয়েছি।
ওই সময় টাকা দেওয়ার কথা বলে তৎকালীন ডিসি অফিসের কয়েকজন স্যার আমার কাছ থেকে উৎকোচ সহ ২৮ কেজি মধু নিলে এ পর্যন্ত টাকার কোন সুরাহ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপকুলীয় ভেরীবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের (সি.আই.পি-১) এর সুপার ভাইজার মোঃ শামীম আহম্মেদ বলেন, ওই পরিবার গুলো ক্ষতিপুরন পাবে না। কারণ তাদের জমি অধিগ্রহন করা হয়নি। ভুলক্রমে তাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়ে প্রথম নোটিশ আসতে পারে। এছাড়া বাঁধ নির্মান কালে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির কোন ক্ষতি করা হবে না। তবে, এব্যপারে বাগেরহাটের বর্তমান জেলা প্রসাশক মোঃ মামুনুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।