August 18, 2019
ডাক্তার সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে!
ডেক্স: দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র দুইজন! এক্স-রে মেশিনটি একযুগ আর ৬ বছর ধরে অচল ইসিজি যন্ত্র। অপারেশন থিয়েটার বন্ধ এক বছর। টেকনিশিয়ানের অভাবে আট বছর ধরে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা হচ্ছে না। শিশু ওয়ার্ড তালাদ্ধ দীর্ঘদিন। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পর্যাপ্ত জনবল Nai । ভবন ও ক্যাম্পাসের সবখানেই ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। দুর্গন্ধময় পরিবেশে সর্বত্র। দীর্ঘদিন ধরে এমন হাজরো সংকট আর অব্যাবস্থাপনায় Kono রকম জোড়া তালি দিয়ে চলছে বাগেরহাটের শরণখোলার 50 শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
যার ফলে, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে এসে চরম বিড়ম্বনার শিকার Hossa নানা বয়সী শত শত মানুষ। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে সেবা পাচ্ছেনা তাঁরা। এছাড়া, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভবাবহ রূপ নেওয়ায় Sara দেশের মতো শরণখোলাতেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বছরের পর বছর হাসপাতালটি হাজারো সমস্যা-সংকটে জর্জরিত থাকলেও তা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ Nai। যে কারণে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্লিনিক ও এলাকার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত Taka খরচ করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।
হাসপাতালের তথ্য মতে, 50 সয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে কনসালটেন গাইনি ও শিশু বিশেষজ্ঞ সহ 13 জন চিকিৎসক থাকার কথা। কিন্তু সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সহ মাএ একজন চিকিৎসক রয়েছেন। বাকি 11 জন চিকিৎসকের পদ শূন্য দীর্ঘদিন। এছাড়া ওয়ার্ড বয় তিনজনে আছে দুই জন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী পাঁচ জনের স্থানে আছে মাত্র ১ জন। আয়া নেই ও প্যাথলজিষ্ট নেই। এক্স-রে 12 বছর এবং ইসিজি মেশিন ছয় বছর ধরে নষ্ট। এই দুই পদে টেকনিশিয়ানও Nai। অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) যন্ত্রপাতি থাকলেও সেখানে কোনো অপারেশন হয় Na। থিয়েটারটি ব্যবহার না হওয়ায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে বসেছে।
সম্প্রতি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, অব্যাবস্থাপনার অসংখ্য চিত্র। ভর্তি রোগীরাও জানালেন নানা অনিয়মের কথা। হাসপাতালের পুরনো ভবনের ছাদ, দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ওয়ার্ড ও ভবনের সব জায়গা স্যাঁতসেঁতে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় নোংরা 8টি বেড। সেখানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আব্দুল্লাহ (9মাস), সাইমুন (৮মাস) নামের দুই শিশু এবং রওশন আরা (৬০) নামের এক নারী ভর্তি রয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে ৪টি ফ্যান থাকলেও চলছে মাত্র ২ টি। ৬টি বাতির জ্বলে ১টি। দুটি মহিলা (oursharankhola) ওয়ার্ডে ২৩টি বেড তা ময়লাযুক্ত। ৯টি ফ্যানের মধ্যে স্বচল ৫টি এবং ১১টি বাতির ৭টিই অকেজো। টয়লেটেরে দুর্গন্ধ ওয়ার্ডজুড়ে।
নতুন ভবনের চিত্র আরো ভয়াবহ। তিন তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে ১৯টি বেড এবং ৪টি কেবিন। তিনটি টয়লেটের মধ্যে (oursharankhola) একটি মোটামুটি থাকলেও অন্য দুটিতে নাক দেওয়ার উপায় নেই। মল-মুত্র ভরে উপচে পড়ছে। ভেতরে স্যালাইনের খোসা, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ (oursharankhola) সহ বিভিন্ন ধরণের আবর্জনা বোঝাই। সেখানে ১০টি ফ্যানের স্বচল ৪টি এবং ১৬টি বাতির জ্বলে মাত্র ৪টি। ভবনের তিন তলা এবং ছাদে উঠতে গিয়ে সিঁড়ি ও আশপাশে দেখা যায় ভয়াবহ অবস্থা। সিঁড়ির ধাপ ও মেঝেতে কালো রঙয়ের পঁচা পানি কতবছর ধরে জমে আছে তা বোঝার উপায় নেই। (oursharankhola) সেই পঁচা পানির মধ্যে শত শত সিগারেটের খোসা এবং অসংখ্য সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ, স্যালাইন ও দিয়াশলাইয়ের খোসা, পোড়া কাঠিসহ ময়লা আবর্জনায় পা ফেলার (oursharankhola) জায়গাটুকুও ফাঁকা নেই। তার মধ্যে মশা ও অন্যান্য কিট কিলবিল করছে। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ত। অপরদিকে, অপরিষ্কার ড্রেন, সেপটিট্যাঙ্কের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল দিয়ে ঢুকতে Hoy হাসপাতালে। সবখানেই ময়লা আর চিকিৎসাবর্জ্যরে স্তুপ। নানা প্রজাতির আগাছা জন্মে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস।
মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় উপজেলার গোলবৃুনিয়া গ্রামের (oursharankhola) আসমা বেগমের (২৮) সাথে। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হফিজুর নামের তাঁর দুই মাসের শিশুকে নিয়ে ভর্তি হন। তার অভিযোগ ডাক্তার নিয়মিত আসেনা। সন্তানের কোনো উন্নতি না (oursharankhola) হওয়ায় ডাক্তার, নার্সদের জানালে তারা রোগী নিয়ে খুলনা যেতে বলেন। নার্সরাও রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করেনা। বগী গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা (oursharankhola) নূরজাহান ডলি (৪০) স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হলেও কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের (oursharankhola) অভিযোগ, ফ্যান, লাইট না থাকায় প্রচন্ড গরমে টেকা যায়না, রাতে অন্ধকারে থাকতে হয়। বিছানা থেকে দুর্গন্ধ আসে। (oursharankhola) এসব সমস্যার কথা বলার পরেও কেউ কোনো গুরুত্ব দেয়না।
পুরুষ ওয়ার্ডের এক নম্বর বেডের রাজৈর গ্রামের আমির হোসেন (৫০) ও পাঁচ নম্বর বেডের জিলবুনিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৮), তাদের দুর্ভোগ আর কষ্টের জন্য (oursharankhola) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হলে অসুখ ভালো হওয়ার চেয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। মল-মূত্রের দুর্গন্ধে দম (oursharankhola) আটকে আসে, ভাত-পানি খাওয়া যায়না। নোংরা বাথরুম টয়লেট পরিষ্কার করতে আসেনা কেউ।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমিটির সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন, (oursharankhola) আগে হাসপাতালের পরিবেশ এতোটা খারাপ ছিলনা। ছোটখাটো অপারেশন ও সিজার খুবই কম খরচে করা হতো। এতে এলাকার (oursharankhola) গরীব অসহায় মানুষের অনেক উপকার হতো। তাই দেড লাখ মানুষের কথা ভেবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে সরকারের (oursharankhola) কাছে দাবি জানাই।
এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের (ওটি )সহ গুরুত্বপুন সকল বিভাগ (oursharankhola) চালু হওয়া জরুরী। ডাক্তার সহ প্রয়োজনীয় জনবল বরাদ্দ হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত মৌসুমে বিনা মুল্যে সেবা পেয়ে উপকৃত হবে এলাকার মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া শোভন জানান, (oursharankhola) রোগীদের সকল অভিযোগ সঠিক নয়। এতো কম সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে একটা উপজেলার মানুষের কাঙ্খিত সেবা দেয়া সম্ভব নয়। তবে, স্থানীয় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে এপর্যন্ত ১০জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এছাডা ডাক্তারv(oursharankhola) সহ জনবল সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জি.কে. শামসুজ্জামান বলেন, হাসপাতাল পরিষ্কার (oursharankhola) পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়া চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবল সংকট নিরসনে চেষ্টা চলছে।